বামেদের আইন অমান্য আন্দোলনে পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে ধুন্ধুমার কান্ড বর্ধমান শহরে
পূর্ব বর্ধমান জেলা বামপন্থী গণসংগঠণের ডাকে আইন অমান্য ঘিরে প্রবল উত্তেজনা ছড়ালো বর্ধমান শহরে। মঙ্গলবার দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি, বেকারত্ব সহ একাধিক দাবীতে আইন অমান্যর ডাক দেয় জেলার বামপন্থী গণসংগঠনসমূহ। বর্ধমান রেল স্টেশন থেকে মিছিল করে এসে কার্জনগেটে আইন অমান্য করে তারা। কার্জনগেটে পুলিশের একটি ব্যারিকেড ভেঙে দেয় তারা। দ্বিতীয় ব্যারিকেড ভাঙার চেষ্টা হলে পুলিশ বিক্ষোভকারীদের আটক করে। কর্মসূচিতে ছিলেন সিপিএম নেতা অমল হালদার, সৈয়দ হোসেন,তাপস সরকার সহ অন্যান্যরা বামপন্থী নেতৃত্বরা। অমল হালদার জানান, আমরা একটার পর এক ব্যারিকেড ভেঙে আমাদের আইন অমান্য আন্দোলন করলাম, কিন্তু আইন অমান্য যে করছি! আমাদের দেশে কি আদও আইন বলে কিছু আছে? আনিশ খান মারা গেলো, বর্ধমানে তুহিনা বলে এক ছাত্রী মারা গেলো। আরও অবাক ব্যাপার সেই ছাত্রীর আত্ম্যহত্যায় প্রোরচনা দেওয়া আসামী এসডিও-র কাছে শপথ বাক্য পড়ে এলেন। তিনি মনে করেন এই মুহূর্তে আমাদের দেশে আইনের শাসন বলে কিছু নেই।তিনি আরও বলেন, সোমবার রাতে রামপুরহাটে ঘটে যাওয়া মর্মান্তিক গণহত্যায় প্রায় ১০ জনকে পুড়িয়ে মারা হয়। একজন তৃণমূল পরিচালিত পঞ্চায়েতের উপ-প্রধান-র হত্যার বদলি ১০ টি তাজা প্রান চলে গেলো। তিনি জানান আজকের এই আইন অমান্য ২৮ ও ২৯ তারিখের ধর্মঘট কে সফল করার জন্য। ১২ দফা দাবী নিয়ে এই ২৮ ও ২৯ ফেব্রুয়ারি বামজোট এই সাধারণ ধর্মঘটের ডাক দিয়েছেন। সাধারণ মানুষকে দেশের এই ভয়াবহ দুর্দিনে এগিয়ে এসে ধর্মঘটে সামিল হওয়ার আহ্বান জানান।অমল হালদার আক্ষেপের সুরে বলেন সারা দেশে একের পর এক রাষ্টায়ত্ত কল কারখানা বন্ধ হচ্ছে। হু হু করে বেকারত্বের সংখ্যা বাড়ছে। বিভিন্ন রাষ্টায়ত্ত কল কারখানা বেসরকারিকরন ও বিলগ্নিকরন হচ্ছে। মানুষ তাঁর ফসলের ন্যায্য মুল্য পাচ্ছে না। ক্ষেত মজুরদের কাজ বন্ধ সহ একাধিক দাবী তোলেন এই আইন অমান্য আন্দোলন থেকে।রামপুরহাট কান্ড নিয়ে বীরভূমের অবিসংবাদিত তৃণমূল নেতা অনুব্রত-র মন্তব্য নিয়ে সংবাদ মাধ্যমের প্রশ্নের উত্তরে বাম নেতা আমল হালদার জানান, অনুব্রত যা বলেছেন তা তিনি বিশ্বাস করেন না, কারন একটা বাড়িতে টিভি ফেটে আগুন লাগতে পারে, পর পর ১০-১২ টা বাড়িতে একসাথে টিভি ফেটে আগুন লেগে এত মানুষের মৃত্যু! তিনি আক্ষেপ করে বলেন এই পশ্চিমবঙ্গে বর্তমানে কোনও আইন নেই, গোটা পশ্চিমবঙ্গ তছনছ হয়ে গেছে।